
আমায় স্য়ালুট করতে দেখে অস্বস্তি হচ্ছিল, যতই হোক, বাবা তো! আমি বলেছিলাম আমায় স্যালুট না করতে, কিন্তু ব্যাপারটা ঘটে গেল। আমিও পাল্টা স্যালুট করি। জেসি ২০১৮ সালের ব্যাচের। পুলিশ শাখায় যোগ দেওয়ার পর ডিউটিরত অবস্থায় এই প্রথম মুখোমুখি হন বাবা-মেয়ে। জেসি বলেছেন, বাবা আমার কাছে বিরাট অনুপ্রেরণার উৎস। ছোটবেলা থেকে তাঁকে নিরন্তর মানুষের সেবা করতে দেখেই বড় হয়েছি।
যেভাবে পারতেন, মানুষকে সাহায্য করতেন। সেটা দেখেই এ পেশা বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুলিশ বিভাগ সম্পর্কে আমার মনোভাব অত্যন্ত ইতিবাচক। পুলিশের পেশায় ঢোকা বাবা একই দপ্তরে কর্তব্যরত মেয়েকে স্যালুট করছেন, এমনটা ঘটেছে ২০১৮ সালে, পাশের রাজ্য তেলেঙ্গানায়। প্রাক্তন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এআর উমা মহেশ্বর শর্মা তাঁর মেয়ে সিন্ধু শর্মাকে স্যালুট করেছিলেন।
সিন্ধু ২০১৪ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার। তেলেঙ্গানার জাগতিয়াল জেলার পুলিশ সুপার হয়েছিলেন। হায়দরাবাদের কাছেই একটি জনসভার আয়োজন করেছিল শাসক দল টিআরএস। সেখানে সামনাসামনি হন উমা ও সিন্ধু। বাবা ও মেয়ে। সিন্ধুকে স্যালুট করেন উমা। সেই দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সূত্র: এবিপি আনন্দ
বাবা, মেয়ে দুজনই ভারতের অ’ন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশে চাকরি করেন। বাবা ওয়াই শ্যাম সুন্দর সার্কেল ইনস্পেক্টর। মেয়ে ইয়েন্দলুরু জেসি প্রশান্তি বর্তমানে গুন্টুর জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিএসপি)।
৪ থেকে ৭ জানুয়ারি তিরুপতিতে অ’ন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য পুলিশ ডিউটি মিট অনুষ্ঠান চলছে, যার পোশাকি নাম ইগনাইট। রবিবার সেখানে দুজনের দেখা হল। পদমর্যাদায় বড় মেয়েকে স্যালুট করলেন বাবা। দুজনেরই তখন চোখে জল।
হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া দৃশ্যের সাক্ষী থাকা বাকিরাও আবেগে চোখের জলে ভাসছেন। ছোট থেকে বড় করা মেয়েকে এভাবে সম্মান জানিয়ে গর্বে বুক ভরে ওঠে বাবার। যদিও পরে সংবাদ সংস্থাকে ডিএসপি প্রশান্তি জানান, বাবা তাঁকে স্যালুট করছেন, দেখতে মোটেই ভাল লাগেনি তাঁর, অস্বস্তিই হচ্ছিল। তিনি বলেন, ডিউটিতে থাকাকালীন অবস্থায় এই প্রথম দেখা হল আমাদের।