
শারীরিকভাবে দু’র্বল ও অ’সুস্থ একটি ছেলে মাত্র ২ মাস ৫ দিনে পুরো কোরআন মুখস্থ করেছে ‘হাফেজ’ খেতাব অর্জন করেছে। এই কীর্তিমান হাফেজ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর কওমি কেরাতুল মাদরাসার শিক্ষার্থী। ৯ বছর ব’য়সী এই কৃতি ছাত্রের নাম আহমাদ তাইমিয়া।
সে কোটচাঁদপুর উপজে’লার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আসলাম হোসেনের ছেলে। এমন মেধাবী শি’শু কীর্তি নিয়ে এলাকায় চলছে তুমুল আলোচনা। অনেকে এই শি’শু হাফেজে কোরআনকে দেখতেও আসছেন। অল্পসময়ে কোরআন মুখস্থ করা প্রস’ঙ্গে কোটচাঁদপুর কওমি কেরাতুল মাদরাসার পরিচালক মুফতি ইবরাহিম খলিল জানান, ২ বছর আগে শি’শু তাইমিয়া এই মাদরাসায় ভর্তি হয়।
সেখানে নার্সারি ও প্রথম শ্রেণি শেষ করে। এর পর গত বছরের জুলাই মাসে কোরআনে কারিম পড়া শুরু করে। প্রথমে সহিহ-শুদ্ধভাবে দেখে দেখে কোরআন তেলাওয়াত শেখা শেষে কোরআন শরিফ মুখস্ত শুরু করে শুরু করে। গত ১৯ জানুয়ারি তার ৩০ পাড়া কোরআন মুখস্ত শেষ হয়। মাদরাসার পরীক্ষা, ছুটি বাদ দিয়ে মাত্র ৬৫ দিনে তাইমিয়া কোরআনে কারিমের হাফেজ হয়েছেন।
পবিত্র কোরআন শুধু আল্লাহতায়ালার প্রেরিত একটি গ্রন্থ নয়, বরং এটা একটা বড় নির্দশনও বটে। আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিম নাজিল করার স’ঙ্গে স’ঙ্গে সংরক্ষণ করারও দায়িত্ব নিয়েছেন নিজে। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমকে বিভিন্নভাবে সংরক্ষণ করছেন এবং কেয়ামত অবধি তা সংরক্ষণ করবেন। কোরআন সংরক্ষণের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে- মানুষের মাধ্যমে কোরআন মুখস্থ করা। যাকে আমরা হিফজ বলি।
পৃথিবীতে যত ধর্মগ্রন্থ আছে তন্মধ্যে কেবল কোরআনই মুখস্থ করা হয়। তাই পৃথিবীতে অসংখ্য অগণিত কোরআনের হাফেজ বিদ্যমান। আরও আশ্চর্যের বি’ষয় হলো- কোরআন হেফজ করার সময়। কেউ এই মহাগ্রন্থ এত অল্প সময়ে মুখস্থ করে ফে’লে যে, তার রীতিমতো বিস্ময়ের বি’ষয় হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি এমনি বিস্ময় সৃষ্টি করে ৯ বছর ব’য়সে পবিত্র কোরআন হিফজ (মুখস্থ) করেছে দুই শি’শু।