
জার্মানির একটি শহরে মাইকে আজান দেয়া নিষিদ্ধ করার দাবিতে স্থানীয়দের করা মা’মলায় জয় পেয়েছেন মুসলিমরা। টানা পাঁচ বছরের আইনি লড়াই শেষে বুধবার মা’মলাটি খারিজ করে দিয়েছেন জার্মান আদালত জার্মানির একটি শহরে মাইকে আজান দেয়া নিষিদ্ধ করার দাবিতে স্থানীয়দের করা মা’মলায় জয় পেয়েছেন মুসলিমরা। টানা পাঁচ বছরের আইনি লড়াই শেষে বুধবার মা’মলাটি খারিজ করে দিয়েছেন জার্মান আদালত।
ফলে, এখন থেকে শহরটিতে মাইকে আজান দিতে আর কোনও বাধা থাকল না। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ২০১৫ সালে জার্মানির উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া অঙ্গরাজ্যের ওর-এরকেনশিক শহরের বাসিন্দারা আজানের সময় মাইক ব্যবহারের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
মসজিদ থেকে ৯০০ মিটার দূরে বসবাসকারী একটি পরিবারের অভিযোগ ছিল, আজানের শব্দে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কিন্তু পরিবারটির এ দাবি খারিজ করে দিয়েছেন জার্মান আদালত। রায় ঘোষণায় বিচারক বলেছেন, অন্যরাও ধর্মীয় চর্চা করবে এটা প্রতিটি সমাজকে অবশ্যই মানতে হবে। যতক্ষণ কাউকে ধর্মচর্চায় জোর করা হচ্ছে না, ততক্ষণ অভিযোগ জানানোর কোনও সুযোগ নেই।
আরো পড়ুন-আরব আমিরাতে উদ্বোধন করা হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ কোরআন একাডেমি আরব আমিরাতের শারজার শাসক শেখ সুলতান বিন মুহাম্মদ বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরআন একাডেমির উদ্বোধন করছেন। ৭৫ হাজার স্কয়ার মিটার বিস্তৃত একাডেমিটি ইসলামি ঐতিহ্যের ৮ কোনা তারকা আকৃতির। ৩৪টি গম্বুজ রয়েছে। এতে সাতটি বৈজ্ঞানিক ও ঐতিহাসিক জাদুঘর রয়েছে।
একাডেমিতে ১৫টি সেকশনে কোরআনের ৬০টি পাণ্ডুলিপির প্রদর্শনী করা হচ্ছে। একেক সেকশনে একেক শতকের পাণ্ডুলিপি। মোট ৩০৮ কপি পবিত্র প্রত্নতাত্ত্বিক কোরআন প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ ছাড়া একাডেমিতে আছে কাবা শরিফে ব্যবহৃত ২৮টি কালো গিলাপ। সবচেয়ে পুরনো গিলাপটি ৯৭০ হিজরি সনের। বৃহত্তম কোরআন একাডেমিটি কেবল জাদুঘর নয়, এতে অন্যান্য কার্যক্রম ও প্রোগ্রাম পরিচালনার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।