
দেশের বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্স তুলে দেয়া হচ্ছে। তবে নতুন করে এসব প্রতিষ্ঠানে চালু করা হবে কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন কোর্স। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমনটাই আভাস দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে ৩১৫টি বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। এসব কলেজের ডিগ্রি স্তরের শিক্ষকরা বেতন-ভাতার অন্তর্ভূক্ত হলেও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ে কোন সুযোগ সুবিধা পান না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছেন। কাজেই যারা অনার্স-মাস্টার্স করবেন তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই করবেন। আমরা আর সনদধারী বেকার তৈরি করতে চাই না। তবে ডিগ্রি পাস কোর্সের পাশাপাশি বিভিন্ন শর্টকোর্স করতে করার চিন্তা রয়েছে সরকারের।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বেসরকারি অনার্স কলেজে লেখাপড়া করে চাকরি পান না অনেকে। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে বিরাট একটা ব্যবধান তৈরি হয়, যারা এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যান তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। অভিভাবকদের জন্যও এটি সুখকর নয়। সন্তানকে পড়ালেন, তাদের একটি চাকরির প্রত্যাশা থাকে, চাকরি হয় না। কোনও কিছু করবে সেটির প্রয়োজনীয় যোগ্যতা তারা অর্জন করতে পারে না। সেসব নানা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ আমরা নিচ্ছ।
১৯৯৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি স্তর পর্যন্ত পরিচালিত এমপিওভুক্ত কলেজগুলোতে অনার্স-মাস্টার্স চালুর অনুমোদন দেয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কলেজের টিউশন ফি থেকে এসব শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার নির্দেশনা দেয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
এ কারণেই অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকের পদ কলেজগুলোর জনবল কাঠামোয় স্থান পায়নি। ফলে খুব বেশি বাড়তি সুবিথধা পায়নি এ স্তরের শিক্ষকরা। এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ থেকেও বিঞ্চিত হয়েছেন তারা। এ সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন সময় দাবি-দাওয়া জানিয়ে আসলেও তার সুরাহা হয়নি। এসকল শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও নানা বিচার-বিশ্লেষণ চলছে বলে মন্ত্রী জানান।